- সোমবার নভেম্বর ৩০, ২০২০
Loading
ফাইজারের পর ভ্যাকসিন বাজারে আনতে অনুমতি চাইল সেরাম ইনস্টিটিউট । সূ্ত্রের দাবি, ইতিমধ্যে তাঁরা ড্রাগ কন্ট্রোলার জেনারেল অফ ইন্ডিয়ার কাছে আবেদনপত্র জমা করেছে। অপেক্ষা শুধু সরকারের ছাড়পত্রের। অন্যদিকে এই মারণ ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নামতে সব উপকরণ মজুত করেছে রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তর। আইসিএমআর থেকে ভ্যাকসিন এলেই শুরু হবে করোনাবধের যুদ্ধ বা টিকাকরণ।
জানা যাচ্ছে আগামী সপ্তাহের শেষের দিকেই আকাশপথে রাজ্যে আসছে ২৯টি ওয়াকিং কুলার বা স্টেশন। একেকটি ওয়াকিং স্টেশন প্রায় ৪ হাজার লিটার আয়তনের। এবং এক লিটার আয়তনে প্রায় ৪০০ ডোজ ভ্যাকসিন নিরাপদে রাখা যাবে।শংকর ধাতব পাতে তৈরি এই ওয়াকিং স্টেশনগুলিতে করোনার ভ্যাকসিন রাখতে ব্যবহৃত হবে । এগুলির ভিতরে তাপমাত্রা ২-৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে থাকে। কলকাতা-সহ রাজ্যের ৩৯টি কেন্দ্রে ভ্যাকসিন সংরক্ষণ করা হবে। আকাশপথে দেশের এক রাজ্য থেকে অন্য রাজ্যে ভ্যাকসিন নিয়ে যাওয়ার জন্য দিল্লি ও হায়দরাবাদ বিমানবন্দরে বিশেষ ব্যবস্থা করা হয়েছে। সুত্রের খবর করোনা ভ্যাকসিন টিকাকরণের সমস্ত প্রক্রিয়া ডিজিটালি নিয়ন্ত্রিত হবে। এই ব্যবস্থার পোশাকি নাম ‘ইলেক্ট্রনিক ভ্যাকসিন ইন্টেলিজেন্স নেটওয়ার্ক’ (ইভিআইএন)। সমস্ত ব্যবস্থা স্বাস্থ্যভবন এবং আইসিএমআর যৌথভাবে নজরদারি করবে।
অন্যদিকে আইসিএমআরের সহযোগিতায় ভারতে আপাতত অক্সফোর্ডের টিকার তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়াল চলছে। সূত্রের খবর অনুযায়ী, ভারতে টিকা বন্টন নিয়ে একাধিক বৈঠক সেরেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বিভিন্ন রাজ্যের সঙ্গেও বৈঠকও করেছেন তিনি। সেই অনুযায়ী বন্টন ব্যবস্থাও তৈরি হচ্ছে।এই টিকা কার্যকরীভাবে করোনা রুখতে জনগণের মধ্যে ব্যবহার করা যাবে দাবি প্রস্তুতকারক সংস্থার । সূত্রে মারফত আরও খবর, পরীক্ষার জন্য সেন্ট্রাল ড্রাগ ল্যাবরেটরিতে টিকার ১২ টি ব্যাচ জমা দিয়েছে সেরাম। যে টিকা দেশের শহরাঞ্চলের পাশাপাশি গ্রামীণ এলাকায় বণ্টনের ক্ষেত্রেও উপযুক্ত। জমা করেছে বিভিন্ন দেশে পরীক্ষামূলক প্রয়োগের ফলাফলও ।
মন্তব্য:
মন্তব্য বন্ধ আছে।