- বুধবার জানুয়ারী ২০, ২০২১
Loading
প্রায় বছর খানেকের অপেক্ষার অবসান। অবশেষে কলকাতায় আসছে প্রায় সাত লক্ষ কো-ভ্যাক্সিন। পুণের সেরাম ইন্সটিটিউট থেকে বিশেষ বিমানের মাধ্যমে পাঠানো হবে কো-ভ্যাক্সিন। আগামী ১৬ জানুয়ারি থেকে শুরু হচ্ছে গণটিকাকরণ। কীভাবে টিকা দেওয়া হবে, সংরক্ষণ হবে, তা নিয়েই এদিন সব রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে পর্যালোচনা বৈঠকে বসেন প্রধানমন্ত্রী। ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় সরকারের কোভিশিল্ড কেনার চুক্তি হয়ে গিয়েছে সেরাম ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডিয়ার সঙ্গে। প্রাথমিকভাবে সরকারকে ১.১ কোটি ডোজ দেবে সেরাম। আপাতত ২০০ টাকা করে পড়ছে প্রথম ১০ কোটি ডোজের দাম।প্রথমে কলকাতা বিমানবন্দর থেকে বাগবাজারে কেন্দ্রীয় মেডিক্যাল স্টোরে তারপর সেখানে নির্দিষ্ট তাপমাত্রায় রেখে তা সংরক্ষণ করে রাজ্যের হাসপাতালগুলিতে পাঠানো হবে টিকা। ইতিমধ্যেই সব জেলায় তিনটি করে হাসপাতালে টিকাকরণের মহড়া শুরু হয়েছে।
কোভ্যাক্সিন ও কোভিশিল্ড – দু’টি ভ্যাকসিনকে ছাড়পত্র দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। সূত্রের খবর, প্রতি ডোজ কোভিশিল্ডের দাম ধার্য করা হয়েছে মাত্র ২০০ টাকা। গতকাল কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়েছে, প্রথম ধাপের ৩ কোটি কোভিড যোদ্ধার টিকাকরণের খরচ জোগাবে কেন্দ্র। গতকাল একথা জানিয়ে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। কিন্তু বাকিদের কী হবে সেই নিয়েও বৈঠকে জানতে চেয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী, কিন্তু সেই সিদ্ধান্ত পরে নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে কেন্দ্র। পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রী প্রশ্ন করেন, কোভ্যাক্সিন ও কোভিশিল্ড এই দুটি টিকার মধ্যে কোনটি নিরাপদ। তখন নীতি আয়োগের বিনোদ কে পল জানান, এখনও গুরুতর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া মেলেনি। এ দিন রাজ্যে টিকাকরণ কর্মসূচিতে সরকারি ব্যবস্থাপনার কথাও তুলে ধরেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, ‘৫.৮ লক্ষ সরকারি ও বেসরকারি স্বাস্থ্য কর্মী, ২.৫ লক্ষ পুলিস কর্মী ও ১.২৫ পুরকর্মীর নাম নথিভুক্ত করা হয়েছে।’
মন্তব্য:
মন্তব্য বন্ধ আছে।