- শুক্রবার সেপ্টেম্বর ৪, ২০২০
Loading
এই প্রথম ভারত সীমান্তে নিয়ন্ত্রণরেখায় মোতায়েন করা হল মহিলা সেনাবাহিনি। লাইন অব কন্ট্রোলের বিপদজ্জনক এলাকায় এবার দেশরক্ষায় কাজে পুরুষ সেনাবাহিনির কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে যুদ্ধ ক্ষেত্রে লড়াই করবেন অসম রাইফেলস-এর ‘রাইফেল ওম্যান’-রাও। বর্তমানে শর্ট সার্ভিস কমিশনে ১০-১৪ বছর পর্যন্ত সেনাবাহিনীতে কাজের সুযোগ পান মহিলারা। ওনারা যথাক্রমে পরিষেবা বিভাগ, অস্ত্র কারখানা, শিক্ষা ও বিচার বিভাগ, ইঞ্জিনিয়ারিং, সিগন্যাল, গোয়েন্দা এবং ইলেকট্রিক্যাল এবং মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে কাজ করে থাকেন।
কীন্তু এবার থেকে অভ্যন্তরীণ সুরক্ষা এবং যুদ্ধের দায়িত্বের জন্য ওই অঞ্চলে মহিলা সেনা মোতায়েন করা হয়েছে। তারা প্যারামিলিটারি অসম রাইফেলসের একটি অংশ, যারা ভারতীয় সেনাবাহিনীতে প্রবেশ করেছে। মহিলা সেনারা উত্তর কাশ্মীরের তাংধার এলাকায় অবস্থান করছে। তাংধার সেক্টরে ৩০ জনের মহিলা দলের প্রতিনিধিত্ব করবেন ক্যাপ্টেন গুরসিমরন কউর। এই প্রথম নিয়ন্ত্রণরেখায় পুরুষদের সঙ্গে মহিলাদেরও নিয়োগ করল ভারতীয় সেনা। সমুদ্রপৃষ্ট থেকে প্রায় ১০,০০০ ফুট উচ্চতায় অবস্থান করছেন এই মহিলা বাহিনি। এইসব এলাকার মাধ্যমে প্রায়ই পাক জঙ্গিরা ভারতে অনুপ্রবেশ করার চেষ্টা করে। ফলে দেখতে গেলে এলাকাটি একদিকে যেমন গুরুত্বপূর্ণ তেমনই প্রতিকূলও বটে।
সুত্র অনুযায়ী ভারতীয় সেনাবাহিনীতে মোট ৮০০ জন মহিলা নিয়োগের পরিকল্পনাও রয়েছে। তার মাঝে প্রতিবছর ৫০ জন করে নিয়োগ করা হবে। শুধু তাই নয় ধর্ষণ, শ্লীলতাহানি সহ অপরাধমূলক ঘটনার তদন্তে সেনাবাহিনীর মহিলা অফিসারদের কাজে লাগানোর ভাবনা ভেবেছেন সেনারা।
প্রসঙ্গত, ১৯৯০-এর দশকের মাঝামাঝি সময় থেকে মহিলারা সেনাবাহিনীর একটি অংশ ছিলেন তবে তাঁরা সংখ্যায় খুবই কম ছিলেন এবং কেবল অফিসার পদেই নিযুক্ত ছিলেন তারা। তাঁদের আর্মোর্ড কর্পস, যান্ত্রিক পদাতিক সৈন্যবাহিনিতে যোগদানের অনুমতি ছিল না। এই প্রসঙ্গে এক সেনা অফিসার বলেন, ‘‘সীমান্তে মহিলাদের দরকার। পাচার রোখার কাজেও তাঁদের প্রয়োজন হয়। কারণ সীমান্ত এলাকায় বহু সময় পুলিশ থাকে না। যতক্ষণ না সামরিক বাহিনীর মহিলারা কাজে যোগ না দিচ্ছেন, ততক্ষণ পর্যন্ত অসম রাইফেলসের মহিলা সেনানীদের আমরা সেই দায়িত্বে রেখেছি।’’
মন্তব্য:
আপনার মন্তব্য যোগ করুন