- মঙ্গলবার অক্টোবর ২০, ২০২০
Loading
সামনে আসল নতুন তথ্য, খোদ গবাদি পশুর মূত্র দিয়ে তৈরি ফিনাইল দিয়েই হবে ঘর সাফ সাফাই এর কাজ। এমনটাই সিদ্ধান্ত নিল মধ্যপ্রদেশে ক্ষমতাসীন শিবরাজ সিংহ চৌহান সরকার। এই সরকার জানিয়েছে, এখন থেকে সব সরকারি অফিসে রাসায়নিক পদ্ধতিতে তৈরি ফিনাইলের ব্যবহার নিষিদ্ধ হবে, সেই জায়গায় ধোয়ামোছা করা হবে শুধুমাত্র গোমূত্রের তৈরি ফিনাইল দিয়ে। রাজ্য গত নভেম্বরে তৈরি গো মন্ত্রিসভা বা কাউ ক্যাবিনেটের প্রথম বৈঠকেই এইরকম সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। বিজেপি শাসিত দেশে এই প্রথম কোনও ক্যাবিনেট তৈরি হয়েছে যা ৬টি দপ্তর মিলিয়ে তৈরি হয়েছে। পশুপালন, কৃষি, পঞ্চায়েত, বন, স্বরাষ্ট্র ও রাজস্ব এতগুলি দপ্তরকে জুড়ে তৈরি করা হয়েছে গো ক্যাবিনেট।
কিন্তু কেন এই সিদ্ধান্ত? এক্ষেত্রে পশুপালন দপ্তরের ভারপ্রাপ্ত মন্ত্রী প্রেম সিংহ পটেলের দাবি, রাজ্যে গোমূত্রের বটলিং প্ল্যান্ট ও গোমূত্রের ফিনাইল কারখানা স্থাপন করাই এই সিদ্ধান্তের মূল উদ্দেশ্যে। এছাড়া গবাদি পশু মালিকদের যে গরু দুধ দিতে পারে না, তাদের পরিত্যাগ না করে ফিনাইল তৈরির কাজে ব্যবহার করা হবে। যাতে মধ্যপ্রদেশে গরু, গবাদি পশুদের অবস্থা আরও ভাল হয়।
গত ২২ নভেম্বর গোপাষ্টমীর দিন ২০১৭-য় আগর মালওয়ায় গঠিত গো অভয়ারণ্যে প্রথম বৈঠক হয় গো-ক্যাবিনেটের। স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী তিরুমালা মন্দিরে ভগবান বেঙ্কটেশ্বরকে পুজো দিতে গিয়েই জানিয়েছিলেন, গো-ক্যাবিনেট গরুর সংরক্ষণ ও দেখভাল করার লক্ষ্যে কাজ করবে, এছাড়া গো-মন্ত্রিসভাও করা হবে।
যেখানে থাকবেন নরোত্তম মিশ্র, মহেন্দ্র সিংহ শিসোদিয়া, কুনওয়ার বিজয় শাহ, কমল পটেলের মত মন্ত্রীরা। অন্যদিকে, কংগ্রেস নেতাদের অভিযোগ, রাজ্য সরকার বেসরকারি কোম্পানিগুলির তৈরি ফিনাইলের বিক্রি বাড়াতে চায় তাই এই ব্যবস্থা। কংগ্রেস বিধায়ক কুণাল চৌধুরি বলেছেন, কোনও পরিকাঠামো না গড়েই এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার। রাস্তায় রাস্তায় ঘুরে বেড়ানো গরুদের অবস্থার সত্যিই যদি রাজ্য সরকার উন্নতি করতে চায়, তবে অন্তত রাজ্যে কিছু কারখানা শুরু করা উচিত ছিল। এবার গোমূত্রের চাহিদা পূরণ করা হবে উত্তরাখন্ডের একটি বেসরকারি কোম্পানিকে দিয়ে।
মন্তব্য:
মন্তব্য বন্ধ আছে।