- বৃহস্পতিবার জানুয়ারী ২১, ২০২১
Loading
এক ঝটকায় তিন সিঁড়ি পার করে শিশু মৃত্যু নিয়ন্ত্রণে ছয় নম্বর থেকে এবার তৃতীয় স্থানে উঠে এল বংলা।
করোনা আবহের মাঝে এই ঘটনাকে রাজ্যের উন্নয়নের মুকুটে আর একটি নতুন পালক বলেই মনে করছেন শিশু বিশেষজ্ঞ ও প্রশাসনিক কর্তারা। শুধু তাই নয় দেশওয়ারি প্রতি বছর গড় শিশুমৃত্যু যেখানে ৩৩.৩%, বাংলায় তা কমে হয়েছে ২১.৩%। এটাও একটি দুর্দান্ত সাফল্য বলে মনে করছেন রাজ্যের স্বাস্থ্যকর্তারা।
জানা গিয়েছে রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তরকে দেওয়া কেন্দ্রীয় তথ্য অনুযায়ী, ০-১ বছর বয়স পর্যন্ত প্রতি হাজার শিশুর মধ্যে রাজ্যে বছরখানেক আগেও মারা যেত গড়ে ১৬ টি শিশু এখন যার সংখ্যা মাত্র ৯টিতে এসে দাঁড়িয়েছে । আরও উল্লেখ্যযোগ্য বিষয়, ১-৫ বছর বয়সি শিশুদের মৃত্যুহারেও ভালমতো রাশ পড়েছে। এই রেঞ্জে প্রতি হাজারে গড়ে মাত্র ১০টির মৃত্যু হয়। আগে যা ছিল ২৬।
প্রসঙ্গত, স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তথ্য অনুযায়ী, শিশুমৃত্যু রোধ কর্মসূচিতে সাফল্যের নিরিখে প্রথম স্থানে কেরল। ০-১ বছরের প্রতি হাজার শিশুর মধ্যে গড়ে সাকুল্যে তিনটি শিশুর মৃত্যু হয় সে রাজ্যে। দ্বিতীয় তামিলনাড়ু। সেখানে সংখ্যাটা ৭। তৃতীয় পশ্চিমবঙ্গ। তারপরে অন্ধ্র, পাঞ্জাব। শুধু শিশু মৃতের ক্ষেত্রেই নয় একইভাবে প্রসূতিমৃত্যু আটকাতেও উল্লেখযোগ্য উন্নতি করেছে রাজ্য। স্বাস্থ্য ভবনের তথ্য, বাংলায় প্রতি এক লক্ষ প্রসূতির মধ্যে কয়েক বছর আগেও ৯৮ জনের মৃত্যু হত। এখন কমে হয়েছে ৭০। জানা গিয়েছে এই রাজ্যে এখন শিশুমৃত্যুর খবর পেলেই অডিট হচ্ছে।মৃত্যুর কারণ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এছাড়াও জন্মের পর থেকে পাঁচ বছর বয়স পর্যন্ত মা ও শিশু যাতে রুটিন প্রতিষেধক ও পুষ্টিকর খাবার পায়, তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এ ক্ষেত্রে আশাকর্মীদের ভূমিকা উল্লেখ্যযোগ্য।
মন্তব্য:
মন্তব্য বন্ধ আছে।